চরফ্যাশনের পর্যটনে তরুয়া সমুদ্র সৈকত

                                         

    প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একগুচ্ছ আবরণ গিয়ে জমা হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর তারুয়া সমুদ্র সৈকতে। ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে এই দ্বীপটি বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত, প্রায় ১০০ বছরের পুরনো এই দ্বীপটির উত্তর পাশে মানুষের বসতি এবং দক্ষিণ পাশে ম্যানগ্রোভ বন এই বনের কোল ঘেঁষেই বাংলাদেশের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি সমুদ্র সৈকত।
দীর্ঘদিন অবহেলা-অযত্নে প্রচার-প্রচারণা না থাকায় মানুষের চোখের আড়ালেই পড়েছিল।গত কয়েক বছর আমাদের প্রচার প্রচারণার ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য পর্যটক তারুয়া সমুদ্র সৈকতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এসেছে।
এখানে রয়েছে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, দেখা যাবে সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য,কানের পর্দায় কম্পিত হবে বঙ্গোপসাগরের শো শো গর্জন,ব্গর্ঙ্পসাগরের উত্তাল ঢেউ গুলো একের পর এক এই সমুদ্র সৈকতের বালুকা বেলায় আচরে পরছে, শীতকালে অতিথি পাখি তারুয়া সমুদ্র সৈকত কে কলকাকলিতে মুখরিত করে রাখে, এর কারন পাশেই রয়েছে ম্যানগ্রোভ বন,এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে ছোট ছোট লাল কাকড়া যা আপনাকে আকর্ষণ করবে অনেক দূর থেকে,দেখে মনে হবে এই যেন এক লাল ভূমি, সমুদ্র সৈকতের একটু উপরে উঠলেই দেখা যাবে বিস্তৃণ বালুর ভূমি এখানে শুধু বালি আর বালি একটু সতর্ক থাকতে হবে সূর্যের আলোয় উত্তপ্ত বালুকাবেলায় হাঁটা সহজ হবে না।  সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়েই এক বিশাল ম্যানগ্রোভ বন এই বনে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে যেমন হরিণ, বানর,মহিষ,পাতি শিয়াল,ইত্যাদি। 
সবচেয়ে উপভোগ্য বিষয় পৃথিবীর আর কোন সমুদ্র সৈকত একসাথে এতগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না। আসলেই কেউ এখানে না আসলে বুঝতেই পারবে না যে এই তারুয়া সমুদ্র সৈকতের দৃশ্যগুলো কত মনোরম এবং উপভোগ্য,কারণ একই স্থানে এতগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশ্রণ এই স্থানের পরিবেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
ঢালচরের এই তারুয়া সমুদ্র সৈকতকে যথোপযুক্তভাবে সংরক্ষণ করে এখানে পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি যাতায়াতের ব্যবস্থা পর্যটকদের থাকা খাওয়ার জন্য সু ব্যাবস্তা করলে ,উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এম,পি মহোদয়ের পর্যটন সম্ভাবনাময় চরফ্যাশনের পর্যটন খাতে যুক্ত হবে আরও একটি সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পট,যা দেশি এবং বিদেশি পর্যটকদের কে আকর্ষণ করবে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ঢালচর তাড়ুয়া সমুদ্র সৈকতে।
অবশ্য ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,জনাব আব্দুস সালাম হাওলাদার নিজস্ব অর্থায়নে ইতিমধ্যেই কয়েকটি বাংলো ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন যাতে পর্যটকরা এখানে নিরাপদে থাকতে পারেন।

Comments

Post a Comment